হুগলীর শেওড়াফুলি হাটকে পুরানো জায়গায় ফিরিয়ে দেওয়ার দাবীতে অবরোধ , বিক্ষোভ ব‍্যবসায়ীদের

22nd May 2020 হুগলী
হুগলীর শেওড়াফুলি হাটকে পুরানো জায়গায় ফিরিয়ে দেওয়ার দাবীতে অবরোধ , বিক্ষোভ ব‍্যবসায়ীদের


নিজস্ব সংবাদদাতা ( শেওড়াফুলি ) : শেওড়াফুলি হাট আগের জায়গায় ফিরিয়ে দেওয়ার দাবীতে পুলিশ ফাঁড়িতে বিক্ষোভ,জিটি রোড অবরোধ।শেওড়াফুলি ফাঁড়ির সামনে জড়ো হয় হাটের ব্যবসায়ী ও তাদের পরিবার।ব্যবসায়ীদের অভিযোগ এক শ্রেনীর স্বার্থান্বেষী মানুষের জন্য অনাহারে কাটছে হাটের ব্যবসায়ীদের।লকডাউন শুরু হওয়ার পর সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে শেওড়াফুলি স্টেশন সংলগ্ন ঘিঞ্জি এলাকা থেকে সরিয়ে দিল্লী রোডের পাশে আর এম সি'তে নিয়ে যাওয়া হয় পাইকারী বাজার।সেখানে কৃষকদের সুবিধা হলেও ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পরেন।ট্রেনে করে বহু পাইকারী ক্রেতা শেওড়াফুলি হাটে আসতেন।ট্রেন বন্ধ থাকায় বেচাকেনা প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।তার উপর হাট স্থানান্তরিত করায় ব্যবসায়ীরা আতান্তরে পড়েন।সুরাহা চেয়ে বৈদ্যবাটি পুরসভা স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়।কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ । আজ শেওড়াফুলি পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে কয়েক শ ব্যবসায়ী ও তাদের পরিবার বিক্ষোভ শুরু করে।জিটি রোড অবরোধ করে।বহু মানুষ এক জায়গায় জমায়েত করায় লকডাউনে সামাজিক দূরত্ব না মানার অভিযোগ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।